কন্টেন্ট রাইটিং কি: কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার: আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দুয়ায় অনেক ভালো আছি। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, আসলে কন্টেন্ট রাইটিং কি? নিম্ন এই বিষয় গুলো ফলো করুন, এবং জানতে থাকুন ফ্রিলান্সিং কন্টেন্ট রাইটং কি?
আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব, ফ্রিলান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং কি? বাংলা কন্টেন্ট
রাইটিং ও ওয়েব সাইট। কন্টেন্ট রাইটিং কি কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার। কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়। বাংলা
কন্টেন্ট রাইটিং ওয়েব সাইট। কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন? কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে
শেখা যায়? কন্টেন্ট রাইটিং এর নিয়ম। কন্টেন্ট রাইটিং করে কিভাবে আয় করা যায়।
ফ্রিলান্সিং শব্দটা অনেকের কাছে তো অজানা হতে পারেনা। ফ্রিলান্সিং করে মাসে
লক্ষ লক্ষ টাকা অয় করছে অনেকেই। তারই ধারাবাহীকতায় কন্টেন্ট রাইটিং হলো
ফ্রিলান্সিং সেক্টরের একটি সাব কেটাগরি। কন্টেন্ট রাইটিং করে অনেক ফ্রিলান্সাররা
বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে রাইটিং এর উপর সার্ভিস দিয়ে ফ্রিলান্সিং সেক্টরে সফল। আপনি
যদি একজন কন্টেন্ট রাইটার হতে চান? তাহেল ফ্রিলান্সিং সেক্টরে নিজেকে দাড় করাতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিাং করে ফ্রিলান্সিং সেক্টরে সফল হওয়া একটু সহজ হলেও যে কোন বিষয়
বস্তুর উপর ভালো ভাবে লিখার যোগ্যতা থাকতে হবে। চেই সেটা বাংলা ভাষা হোক, বা ইংলিশ
ভাষা, অথবা অন্য কোন ভাষা।
এক কথায় বলতে গেলে, যে কোন ভাষায় যে কোন বিষয় বস্তুর উপর অটল থেকে লেখা-লেখি
করে অনলাইনের মাধ্যেমে আয় করার নাম হলো ফ্রিলান্সিং কন্টেন্ট রাইর্টিং।
বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং ওয়েবসাইট
বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং ওয়েব সাইট- হলো বাংলা ভাষায় যে কোন বিষয় এর উপর
লেখা-লেখির নাম হলো বাংলা কন্টে রাইটিং। আপনার মাথায় যদি থাকে আনি কন্টেন্ট রাইটার
হতে চান? তাহলে ওয়েব সাইট আপনার জন্য অতীব জরুরী। বাংলাতে কন্টেন্ট লিখে আপনার
ওয়েব সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা এবং নতুন নতুন এসইও কিওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগোলের
ফার্স্ট রেঙ্কিং এ আসলে মনে করবেন আপনি একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার।
আপনি যে বিষয় এর উপর ভিত্তি করে লিখেন না কেন- আপনার নিজস্ব্য ওয়েব এর বিকল্প
নেই।
কন্টেন্ট রাইটিং কি কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার
প্রথমে জানি, কন্টেন্ট রাইটিং কি?যে কোন বিষয় বস্তুর উপর স্থির থেকে যে কোন
ভাষায় লিখার নাম হলো কন্টেন্ট রাইটিং। সবার প্রিয় এবং বর্জনশীল কর্মস্থান নিজের
পছন্দের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দারুন আয় করার সুযোগ। তবে ভলো এবং সফর কন্টেন্ট
রাইটার হতে চাইলে শুধু ভালো কন্টেন্ট বা লিখা হলে হবে না। SEO (সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন) সম্পর্কেও ভালো পরিমাণের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার? (১) ব্লগ পোস্ট লিখা: বর্তমান যোগ হলো
ইন্টরনেটের যোগ বা তথ্য যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে তথ্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের
কোন বিকল্প নেই। তথ্য যোগাযোগ ব্যবহার করে ব্লগ ওয়েব সাইটের মাধ্যমে লেখা-লেখি
করা। যারা এই ব্লগে বা ব্লগ ওয়েব সাইট এর মধ্যে লেখা-লেখি করে তাদেরকে বলা হয়
ব্লগার। ব্লগারের মধ্যে ব্লগপোস্ট লিখার যে প্রক্রিয়াটি রয়েছে তাকে এক কথায় ব্লগিং
বলা হয়ে থাকে। বর্তমান
সময় এর তথ্য-যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ব্লগিং করার প্রত্যেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে
উটেছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে ব্লগ তৈরী করা হয়, ফ্রিলান্সারদের ভাষায় বলা হয়
ব্লগিং বা ব্লগ পোস্ট।
(২) ইমেইল রাইটিং: এমন একটি মাধ্যম হলো ইমেইল, যার দ্বারা প্রফেশনাল
ভাবে আপনার কস্টমারের সাথে যোগদান করে বিষয় বস্তুর উপর স্থির হয়ে সঠিভ ভাবে
লেখা-লেখি করা। তাই ইমেইল ব্যবহার করে আপনি আপনার কাস্টমারের সাথে সঠিক ও সুন্দর
ভাবে উপস্থাপান করুন। সমুস্ত ধাপ গুলো ক্রমান্বয়ে মেনে চলুন এবং আপনার কস্টমারের
কাছে পাঠান।
(৩) কপি রাইট: কোন ক্লায়েন্ট বা কাস্টমার আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয় দিয়ে বলবে যে, এই বিষয়ের উপর আমাকে
একটি আর্টিকেল লিখে দাও। তখন এটিকে ও কপিরাইট বলা হয়। অথবা কোন কাস্টমার আপনাকে
কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে বলবে, এগুলো পুনরায় লিখে দাও ডক্স ফাইলে অথবা ওয়ার্ড ফাইলে,
অথবা অন্য যে কোন ফর্মেটে। তখন তাকে কপি রাইট বলা হয়।
(৪) টেকনিক্যাল রাইটিং: সহজ ভাষায় বলতে গেলে টেকনিক্যাল রাইটিং হলো কোন বিষয়
বা কোন পাঠ অথবা কোন একটি আর্টিক্যাল সহজে মানুষকে বুঝানো। আপনি আপনার টেকনিক্যাল
জ্ঞান এর মাধ্যমে কঠিন বিষয়কে সহজে বুঝানোর নাম টেকনিক্যাল রাইটিং।
(৫) এড এন্ড প্রমো রাইটিং: এই তথ্য গুলই জানতে হবে আপনাকে অবশ্যই। আমার
ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে এড এন্ড প্রমো রাইটিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা
করব। এড এন্ড প্রমো রাইটিং হলো কোন পণ্য বা কোন কোম্পানির জন্য কাস্টমারকে আকৃষ্ট
করা আপনার লিখার মাধ্যমে। এমন ভাবে লিখতে হবে যে, আপনার লিখা দেখে যে কোন ভিজিটর
পন্যটি কিনতে আগ্রহী হয় অথবা কোম্পানির সেবা নিতে আগ্রহী হয়। এড এন্ড প্রমো রাইটিং
লিখার নিয়ম ভিন্ন স্থানে ভিন্ন রকম। এড এন্ড প্রমো রাইটিং লিখার নিয়ম হলো হলো প্রথমে
হেড লাইন লিখবেন, এর পর যে পন্যটির বা কোম্পানির সেবা দিবেন তার কপি। তার পর কিছু
ড্রেসকিপশন এর পর কল-টু এ্যাকশন বাটন।
(৬) সোসাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং: এটা
হলো নিজের মতামত প্রকাশ করার স্থান সোশাল মিডিয়া রাইটিং।ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রা,
টুইটার ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ার দ্বারা পোষ্ট লিখে যে কোন পণ্য বা কোম্পানির সেবা
প্রদান করা যায়। এছাড়া আপনার নিজের ব্যবসা ও পরিচালনা করা সহ আপনার গ্রাহকদের সাথে
যোগাযোগ এবং সম্পর্ক গড়ে তুলা যায়।
(৭) স্ক্রিপ্ট-রাইটিং: এটি হলো মূলত একটি গল্প বলার মতো। বিডিও চিত্র বা দৃশ্যমান
ছায়াছবি, নাটক, এর সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গল্প বা সংলাপ লিখা।
(৮) লং ফরম কন্টেন্ট রাইটিং: এটি হলো কোন একটি গল্প লিখা যা ১০০০ শব্দের বেশী
হতে হবে। এমন কন্টেন্ট লিখা যা পাঠকের বুঝানোর সুবিধার্থে বিশ্লেষন করে লিখা হয়ে
থাকে। যেমন: একটি বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে প্রথমে ভুমিকা, তার পর সংক্ষেপে
ড্রেসকিপসন, এর পর মুল বিষয় লিখা।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়
বর্তমান এই তথ্য ও যোগাযোগ পযুক্তির যুগে কন্টেন্ট রাইটিং শিখা আবশ্যক হয়ে
পাড়েছে। কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে বেশী বেশী বই (গল্প) পড়তে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং
কোর্স সম্পর্কে অনেকেই এই সার্বিস দিয়ে আসছে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্টান। এছাড়া
অসংখ্য ব্লগারদের ব্লগ পোষ্ট পড়ে ও ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন।
ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের প্লেলিস্ট থেকে বিডিও দেখে কন্টেন্ট
রাইটার হতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজনি
আজকের এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যোগে কন্টেন্ট রাইটিং: কন্টেন্ট রাইটিং বা
ফ্রিলান্সিং এর গুরুত্ব অপরিহার্য। আপনি যে কোন বিষয় নির্ধারণ করে লিখুন না কেন,
কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে নিজেকে দাড় করাতে হলে অবশ্যই ডিজিটাল পদ্ধতি বেছে নিতে
হবে। তাই সোশাল মিডিয় থেকে শুরু করে ব্লগ তৈরী করা, ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট তৈরী
করা, সবই তথ্য যোগাযোগ এর মাধ্যেমে। কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজনীতা অপরিহার্য।
কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শেখা যায়
কন্টেন্ট রাইটিং শেখা যায় অনেক ভাবে। বেশী বেশী বই পড়া, অধিক পরিমানের ব্লগ
পড়া। ভালো লিখকের বই পড়ুন এবং অনুসরণ করুন। এতে করে আপনি নিজেকে কন্টেন্ট রাইটার
হিসাবে তৈরী করতে পারবেন। অনেক ফ্রি এবং পেইড কোর্স আছে, যেখান থেকে আপনি কন্টেন্ট
রাইটিং শিখতে পারবেন। ব্লগ সাইট বা ওয়েব সাইট নিজের জন্য তৈরী করুন। নিজের পছন্দ
মত যে কোন একটি বিষয় নির্ধারন করে লিখতে থাকুন। আজ কাল অনেক সহজ ভাবে অনেক কিছু
শেখা যায় ইউটিউবের মাধ্যমে। ইউটিউব থেকে শিখতে পারবেন কন্টেন্ট রাইটিং। এমন অনেক
ইউটিউবার আছে যারা ইউটিউবের প্লেলিস্ট তৈরী করেছে কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর।
মনে রাখা আবশ্যক যে, কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে বেশী বেশী লিখার অভ্যাস এবং বই
পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং এর নিয়ম
কন্টেন্ট রাইটিং এর নিয়ম: যে
কোন একটি বিষয় নির্ধারন করুন। এবং কেন লিখছেন, কার উদ্দেশ্য লিখছেন। আপনার লিখার
দ্বারা টার্গেটেড পাঠককে আনন্দ দেওয়ার এই সব বিষয় মাথায় রেখে প্রথমে লিখবেন
ভূমিকা, এর পর কিছু সট ড্রেসক্সিপশন। এর পর মুল বিষয় নিয়ে আলোচনা।
কন্টেন্ট
রাইটিং আয়
আপনার যদি পছন্দ হয় লেখা লেখি।
নিজের লিখার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে শুরু করুন। তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং
হয়ে যাক আপনার পেশা। ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, এবং সোশাল মিডিয়ায় আপনার লিখার
দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে ভালো মানের আয় করতে পারবেন। এবং বিভিন্ন মার্কেট
প্লেসে ও নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কস্টমার অথবা কোম্পানির সার্ভিস দিয়ে আয়
করুন। কন্টেন্ট রাইটার হলে, আয় করার জন্য অসংখ্য পথ আপনার সামনে।
সচরাচর প্রশ্ন উত্তর:
কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন?
আজকের এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কোন একটি পণ্য বা কোম্পানির জন্য কন্টেন্ট এর দ্বারা গ্রাহকদের আকর্ষন ভাড়ানো। মোট কথা হলো কন্টেন্ট রাইটিং এর দ্বারা কোন কোম্পানির গ্রাহক ভাড়ানো অথবা কোন পণ্যের বিক্রয় বাড়ানো।
মার্কেটিং ও কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যকার পার্থক্য কি?