ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়: ব্লগিং সম্পর্কে এ টু জেড

 ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়: আস্সালামু আলাইকু ওয়ারাহমাতুল্লাহ! আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিহ ভালো আছি। ব্লগিং নিয়ে অনেকের মনে অনেক  প্রশ্ন ঘোর-পাত খাচ্ছে। তাই আজ আপনাদের এই সকল পুরোপুরি বিষয় নিয়ে আলোচনার করার চেষ্টা করব- ইনশা আল্লাহ

একজন ব্লগারের ক্যারিয়ার। এই সকল বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের কে এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা করব। ব্লগিং কি? বাংলা ব্লগিং কি? ব্লগিং ওয়ো সাইট? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?ব্লগিং শিখবো কিভাবে । কিভবে ব্লগিং শুরু করব, বাংলাদেশের সেরা ব্লগিং ওয়েব সাইট। মাইক্রো ব্লগিং ওয়েব সাইট কোনটি? ব্লগিং করে ইনকাম, 

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়: ব্লগিং সম্পর্কে এ টু জেড


ব্লগিং কি?


ব্লগিং কি? প্রথমে জানা থাকা জরুরী যে, ব্লগিং কি?সহজ ভাষায় বুঝানোর জন্য আমি বলব, ব্লগিং হচ্ছে আপনি যদি কোন একটি বিষয় জানার জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ব্রাউজারে সার্চ করে থাকেন, যেই ইনফোর্মেশন আপনার সামনে আসে, মুলত সেটাই হলো ব্লগ। সেটা হতে পারে বাংলা ব্লগ, সেটা হতে পারে ইংলিশ ব্লগ। আপনি যে ভাষায় গুগোলে সার্চ করবেন সেই ভাষায় ব্লগ আপনার সামনে ওপেন হবে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের যেই কন্টেন্ট গুলো থাকে, মূলত থাকেই ব্লগ বলা হয়।

বাংলা ব্লগিং


বাংলা ব্লগিং- বাংলা ব্লগিং হলো এই যে আপনি আমার বাংলা লিখাটি পড়ছেন, এইটা হলো বাংলা ব্লগ। যে কিয়ার্ডের মাধ্যেমে এই বাংলা পোস্টি আপনার সামনে আসছে। এটাই হলো বাংলা ব্লগ।

ব্লগিং ওয়েবসাইট


ব্লগিং ওয়েব সাইট: ব্লগিং ওয়েবসাইট হলো আপনার কাঙ্খীত কিওয়ার্ড লিখে যখন গুগোলে সার্চ করেন তখন যে সকল ইনফোর্মেশন আপনার সামনে আসবে, সেটা হলো ব্লগিং ওয়েবসাইট। ব্লগিং ওয়েব সাইট হলো একধরণের অনলাইন জার্নাল, লাইব্রেরী বা দিনলিপি। নিজের মতামত এখানে যে কেউ তার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্যদের সাথে শেয়ার করা হয়। এই লিখা গুলোকে সাধারণত পোস্ট বলা হয় অথবা ব্লগ বলা হয়। ব্লগিং ওয়েব সাইটের সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি আপনার মুক্ত মঞ্চ প্রধান করা।

কেন ব্লগিং: অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায় আপনি আপনার নিজের ভাষা ব্যবহার করে। আপনি আপনার দক্ষতা বা অস্থিত্ব, ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারেন। মানুষের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারেন এই ব্লগিং ওয়েব সাইট দ্বারা ।  


ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়


ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? এখন আসুন এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। প্রথমে বলে রাখা ভালো যে, সফলতা হুট করে আসে না। সফতলা ছিনিয়ে আনতে হয়। বিশেষ করে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা কথ ভাবলে আপনাকে প্রথম দিকে অনেক পরিশ্রম ও অনেক ধর্য নিয়ে ব্লগিং এর কাজ টা শুরু করতে হবে।

তবেই আপনি নিজেকে এজন ব্লগার হিসাবে দাবী করতে পারবেন। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? এই বিষয় নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না কারণ ধর্য আর পরিশ্রম এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের লক্ষ্যে পরিশ্রম করলেই সফলতা আপনার। ব্লগিং করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণের আয় করা যাচ্ছ আপনি হতাশ হবেন না। কারণ যারা নতুন ব্লগার তারাও মাসে ভালো পরিমানের একটি ইনকাম করছেন আজও

ব্লগিং করে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে অন্য তম হচ্ছে গুগোল এডসেন্স। নতুন ব্লগাররা যারা মাত্র শুরু করেছেন, তারা প্রথম ৬ (ছয়) মাস পর থেকেই প্রতি মাসে মিনিমাম ৫০০-১০০০ USD dollar $ ইনকাম করছেন। গুগোল এডসেন্স থেকে আয় করার বিষয়টা হলো আপর ব্লগ ওয়েব সাইটের পোস্ট গুলোতে গুগোল এর এড দেখানো হবে বিভিন্ন পোস্টে আর এতে আপনার আয় হবে।

ব্লগিং এখন আর শুধু হবি নয়। আয়ের একটি স্থিতিশীল এটি অনেকের জন্য হয়ে উঠেছে। আসলে কত টাকা প্রতি মাসে আয় করা সম্ভব এটাই হলো প্রশ্নে। এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন, কারণ বিষয় বস্তুর উপর নির্ভর করে আয়ের পরিমাণ।

একজন ব্লগারের আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে-


গুগোল এডসেন্স:- সবচেয়ে জনপ্রিয় মনিটাইজেশন পদ্ধতি হলো এটি। আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটে মনিটাইজেশন অন করা থাকলে আপনার ব্লগে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এতে প্রতি ক্লিকে আপনি একটি কমিশন আর্ন করতে পারবেন।


এফিলিয়েট মার্কেটিং করে:- একজন ব্লগারের সবচেয়ে পছন্দনীয় একটি মাধ্যম। নিজের ব্লগ ওয়েবসাইটে কোম্পানির পণ্য বিক্রয় বা কোম্পানির সেবা প্রদান করে কমিশন পাওয়া যায়।


স্পন্সার পোস্ট:- নিজের ব্লগ ওয়ব সাইটে কোন কোম্পানির পন্য বা সেবা সম্পর্কে পোস্ট লিখার জন্য কমিশন পাওয়া যায়।


ডিজিটাল প্রডাক্ট:- নিজস্ব কোন পণ্য বা ই-বুক অথবা ডিজিটাল যে কোন প্রডাক্ট কিক্রি করা যায় নিজের ব্লগ ওয়েব সাইটে।


সার্ভিস:- ব্লগ সম্পর্কিত কোন সেবা বা দক্ষতা বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়।


বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক:- এখানে থেকে আপনি আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটটি যুক্ত করে ভালো পরিমানের ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন গুগোল এডসেন্স এর মত।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে একজন ব্লগার প্রতি মাসে হেনসাম আয় করছেন। মনে রাখবেন, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর। প্রথমত আপনি যত বেশী সময় দিতে পারবেন তত বেশী ইনকাম হবে। গুগোল এডসেন্স পাওয়ার পর থেকে আপনার কষ্টের পরিমাণ কমে যাবে।


কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো


কিভাবে ব্লগিং শুরু করব: আপনার যদি একটি কম্পিউটার ল্যপ্টপ/ডেক্সটপ থাকে সাথে ইন্টারনেট সংযোগ, আজই শুরু করতে পারেন গুগোলের https://www.blogger.com/ থেকেআপনার একটি জিমেইল আইডি দিয়ে ব্লগারে একটি একাউন্ট তৈরী করে আপনার ব্লগার ওয়েব সাইটটি, সে বিষয়বস্তর উপর নির্ভর করে একটি নাম দিয়ে ফ্রীতে ব্লগ ওয়েব সাইট তৈরী করতে পারবেন। আজই শুরু করুন। তবে .com ডুমেইন কিনলে আপনার ব্লাগার ওয়েব সাইট গুগোল এডসেন্স পেতে দ্রুত সাহায্য করবে। ব্লগার ডট কম এটি মুলত গুগোলেরই একটি প্রডাক্ট। এখানে আপনার ওয়েব সাইট তৈরী করলে হুস্টিং এড করতে হবে না।  


ব্লগিং কিভাবে শিখব?


ব্লগিং কিভাবে শিখব: ব্লগিং শিখার জন্য বিভিন্ন পথ আপনার সামনে অপেক্ষা করছে। আপনার যদি ইচ্ছা-শক্তি আর ধর্য থাকে তবেই আপনি ব্লগিং শিখতে পারবেন।

ভালো মানের যে কোন আইটি প্রতিষ্টান বেছে নিতে হবে। অথবা এমন কাউকে বেছে নিতে হবে যে, সে সত্যি কারের ব্লগার।

এছাড়াও আপনি ইউটিউবের মাধ্যেমে বিভিন্ন ইউটিউবারের প্লেলিস্ট থেকে শিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার সময় একটু বেশী লাগবে তবে, ইউটিউবের মাধ্যেমে শিখলে আপনি একজন ভালো মানের ব্লগার হতে পারবেন। ব্লগিং সম্পর্কিত আরো অভিজ্ঞতা বাড়াতে চাইলে বিভিন্ন ব্লগ পোস্টের আর্টিকেল পড়ুন। এতে করে আপনার অভিজ্ঞা আরো বৃদ্ধি পাবে।


সফল ব্লগার হওয়ার জন্য


কিউওয়ার্ড রিসার্চ করে নিয়মিত কন্টেন্ট এবং মান-সম্পন্ন ইউনিক পোস্ট করুন।

SEO এর মানে হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটি মাইজেশন। আপনার ব্লগ পোস্টকে গুগোলের সার্চ ইঞ্জিনের শির্ষে নিয়ে আসা।

সোসাল মিডিয়া: সোসাল মিডিয়ার মাধ্যেমে আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটের বেশী বেশেী প্রচার করা , এতে আপনার ওয়েব সাইটের ভিজিটর আরো বাড়বে।

পাঠকদের সাথে যোগাযোগ : পাঠকদের সাথে মন্তব্য (comment) এর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন।

অবিরাম শিক্ষা: ব্লগিং সম্পর্কে নতুন নতুন যে কোন বিষয় বন্তুর উপর লিখতে থাকুন।


বাংলাদেশের সেরা ব্লগিং কোম্পানি


() word press: এটি গুগোলেরটি একিট প্রডাক্ট।

সুবিধা: ব্যবহার করা সহজ তবে নতুনের জন্য ব্যবহার করা একটু কষ্ট। এসিও এর দিক থেকে অনেক ভালো কারণ গুগোর এর সাথে সংযুক্ত থাকার কারনে। কোডিং প্রোগ্রামিং জানা না থকলেও এর মাধ্যমে ওয়েব সাইট মেইক করা কোন সমস্যা হবে না।

(২) Blogger.com একটি ড্রাগ এন্ড ড্রপ প্লাটফর্ম যা নতুনদের জন্য ব্যবহার করা অনেক সহজ। কোডিং প্রোগ্রামং জানা না থকলেও এর মাধ্যমে ওয়েব সাইট মেইক করা কোন সমস্যা হবে না। আরেকটি সুবিধা হলো হুস্টিং ফ্রি।

প্রিয় পাঠক! এছাড়াও আরো অনেক ব্লগার ওয়েব সাইট মেইক করার প্লাটফর্ম রয়েছে। তবে এগুলো বিশ্বের অন্যতম প্লাটফর্ম


মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট কোনটি?


টুইটার ব্যবহারকরী একটি টুইতে 280টি কেরেক্টার ব্যবহার করতে পারেন। পুর্বে থেকে এটি ছিল 140 কেরেক্টার, কেরেক্টার ব্যবহার করার এই সীমাবদ্ধতার কারণে টুইটাওয়ারকে মাইক্র-ব্লগিং ওয়েব সাইট বলে তাকেন।


একজন ব্লগারের ক্যারিয়ার


একজন প্রফেশনাল ব্লগারের ক্যরিয়ার: এটি মুলত একটি পেসিব ইনকাম । সঠিক ভাবে কাজ করলে লাইফ টাইম ইনকাম করার পথ হচ্ছে ব্লগিং। প্রথম প্রথম আপনি অনেক কষ্ট করলেও একটা সময় এমন আসবে, দিনে ১ ঘন্টার মত কাজ করলেই হবে।


সচরাচর প্রশ্ন উত্তর

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? 

ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় সঠিক ভাবে এটা বলা অসম্ভব। তবে অনেক পরিশ্রমী ব্লগার আছে, যারা ব্লগিং শুরু করার প্রথম ১বছর এর মাথায় ৫০০ ডলার থেকে শুরু করে ২০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করছে।


ব্লগিং করে কি আসলে টাকা উপার্যন করা যায়? 

ব্লগিং করে গুগোল এডসেন্স এবং এফিলিটে মার্কেটিং করে টাকা উপর্যন করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে এবং আপনার নিজস্ব ওয়েব সাইট দ্বারা গুগোল এডসেন্স থেকে ভালো পরিমাণের আয় করতে পারেন। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post