আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ! ফ্রিলান্সিং মানে কি?ফ্রিলান্সিং সম্পর্কিত এ টু জেড। আশা করি সকলে ভালো আছেন। ফ্রিলান্সিং সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন অনেকের মনে, ফ্রিলান্সিং করে মানুষ প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে, তাই এই বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
আজকের
এই পোষ্ট এর মাধ্যেমে জানতে পারবেন, ফিলান্সিং মানে কি? ফ্রিলান্সিং বলতে কু বুঝেন? ফ্রিলান্সিং ও
আউটসোর্সিং, ফ্রিলান্সিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, ফ্রিলান্সিং কিভাবে শুরু করব? ফ্রিলান্সিং এর কাজ,
বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম? ফ্রিলান্সিং
ক্যারিয়ার, এই সম্পর্কে এ টু জেড জানতে পারবেন। সম্পুর্ণ
পোষ্টটি পড়বেন।
ফ্রিলান্সিং বলতে কি বুঝেন?
প্রথমে
আসি ফ্রিলান্সিং বলতে কি বুঝায়? ফ্রিলান্সিং
শব্দের অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থ্যাৎ সাভাবিক ভাষায় বলতে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে
কোন কাজ কোন কাস্টমারের সম্পন্ন করে দেওয়াকে ফ্রিলান্সিং বলে। সংক্ষেপ কথা হলো দেশ
অথবা দেশের বাহিরে সাধীন ভাবে কোন কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করে
দেওয়াকেই মূলত ফ্রিলান্সিং বলে।
ফ্রিলান্সিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম
ফ্রিলান্সিং
করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, একথা
তো অনেকেই শুনেছেন। ইন্টারনেট সংযোক্ত একটি কম্পিউটার , যেমন লেপ্টপ, ডেক্সটপ থাকলেই ফ্রিলান্সিং ঘরে করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। তবে কম্পিউটারের উপর পুর্ন অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেই সাথে ফ্রিলান্সিং
ক্যাটাগরির উপর যেকোন একটি বিষয় এর উপর নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে কাজ করতে থাকলে
ফ্রিলান্সিং সেক্টরে সফলতার মুখ দেখতে পারবেন।
ফ্রিলান্সিং ও
আউটসোর্সিং
আর আউটসোর্সিং হলো দেশ অথবা দেশের বাহীরে কেউ আপনার কাছ থেকে অনলাইন এর মাধ্যমে কোন কাজ সম্পন্ন করে নেয়, সেটাকে বলা হয় আউটসোর্সিং। আশা করি কিছুটা হলেও আপনাদেরকে ধারনা দিতে পেরেছি, ফ্রিলান্সিং বলতে কি বূঝায় ও ফ্রিলান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থ্যক্য।
ফ্রিলান্সিং এর কাজ
তাড়াহুড়া
করে/অথবা হুট করে কেউ প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেনা। আপনাকে লক্ষ্য
নির্ধারণ করে যে কোন একটি বিষয় এর উপর পুর্ণ দক্ষতা অর্জন করে তার পর এই ফ্রিলান্সিং
সেক্টরে আসতে হবে। ফ্রিলান্সিং এর কাজ সমুহ: ফ্রিলান্সিং এর কাজ সমুহ আলোচনা করতে
গেলে অনেক কিছু লিখতে হবে। তাই উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি কাজ নিম্ন আলোচনা করা হলো।
(১)
ওয়েব ডেবলাপমেন্ট, আপনি যদি একজন ওয়েব ডেবলাপার হতে পারেন, তবে আপনি
প্রতি মাসে ভালো পরিমাণের একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এমনকি মাসে লক্ষ লক্ষ
টাকা ও উপর্যন করতে পারবে। এমন অনেক প্রফেশ্যনাল ওয়েব ডেবলাপার আছে যারা বিভিন্ন
কোম্পানির আন্ডারে কাজ করে প্রতি মাসে কোটি টাকাও ইনকাম করছেন।
(২)
ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো- আপনি কোন প্রডাক্ট এর সেল ভাড়াবেন বা কোন
কোম্পানির জন্য কাস্টমার বৃদ্ধি করবেন, তো এই কাজটি করতে হবে
আপনাকে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে। ডিজিটাল পদ্ধতি বলতে তথ্য ও যোগাযোগ মাধ্যম
ব্যবহর করে এই কাজগুলো করে দেওয়াকে মুলত ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিং
এর আরো কয়েকটি ধাপ আছে, যেমন: সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং,
ইমেইল মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং,
(৩)
গ্রাফিক্স ডিজাইন, এটা অনেক বড় একটি সেক্টর। আপনি যদি গ্রফিক্স মাস্টার বা গ্রাফিক্স
ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে এই কাজ করে ফিলান্সিং সেক্টরে আপনি সফল হতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো যেমন: লগো ডিজাইন, বিসনেস কার্ড ডিজাইন,
পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার, ডিজাইন, বিডিও ইডিটিং, অনিমিশন,
সহ আরো বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ আছে। অনেক ফিলান্সার আছে
যারা শুধু বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে আপওয়ার্ক, ফইভার,ফ্রিলান্সার ডন কম সহ আরো বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করে মাসে লক্ষ টাকার
বেশী আয় করছে। আবার অনেকেই আছে যারা শুধু লগো ডিজাই এর কাজ করে, আবার অনেক ডিজাইনার আছে যারা শুধু বিডিও ইডিটিং এর কাজ করে বিভিন্ন
মার্কেট প্লেসে সার্বিস দিয়ে আসছে। আপনি ফ্রিলান্সিং এর যে কোন কাজ করেন না কেন,
আপনি যদি যে কোন একটি কাজের পূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকে, তবেই আপনি নিজেকে ফ্রিলান্সার দাবী করেতে পারবেন।
(৪)
ডাটা এন্ট্রি, ডাটা এন্ট্রি হলো- মনে করেন আপনাকে কোন ব্যক্তি বা কোন কোম্পানি যে যে
ডাটা সংগ্রহ করে দেওয়ার কাথা বলে, তখন আপনি অনলাইনের
মাধ্যেমে সেই ডাটা গুলো সংগ্রহ করে দওয়াকে মূলত ডাটা এন্ট্রি বলে। ডাটা এন্ট্রির
আরো কয়েক প্রকার কাজ আছে যেমন: ডাটা এনালাইটিক করা, ওয়েব
রিসার্চ করা, ইত্যাদি।
(৫)
টাইপিং করে ফ্রিলান্সিং- বিভিন্ন ফ্রিলান্সার আছে যারা শুধু মাত্র টাইপিং করে মাসে
ভালো পরিমাণের আয় করছে। টাইপিং করে ফ্রিলান্সিং এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে বলি, তবে আপনাদের
আরো বুঝতে সুবিধা হবে। মনে করেন কোন ব্যাক্তি একটি পেইজ টাইপিং করাবে, তখন হাথে লিখা কাগজ এর পিক অথবা স্কিনসট দিয়ে বলবে, এই
পেইজটি আমাকে টাইপিং করে দাও , এই রকম আরো বিভিন্ন টাইপিং
কেটাগরির কাজ করে ফ্রিলান্সিং করছে অনেকে।
(৫)
ব্লগিং করে ইনকাম- এই ব্লগিং সম্পর্কে যদি আপনাদের সাথে আলোচনা না করি তবে অনেক
কিছুই মিস করে যাবেন। একজন ব্লগারের মাসিক আয় কত টাকা? এটা জানলে
অবশ্যই আপনি অবাক হবেন। ব্লগিং সম্পর্কে আরো পোস্ট আছে আমার এই ওয়েব সাইটে,
আপনি দেখে আসতে পারেন। আপনি যদি গুগোলে গিয়ে সার্চ করেন যে, একজন ব্লগারের গড় মাসিক আয় কত? তখন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন। তবে ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আপনার
নিজস্ব একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। ফ্রিতে আপনি ওয়েব সাইট বানাতে পারবেন ব্লগারের
মাধ্যেমে। এটা গুগোল এর প্রডাক্ট।এখানে ক্লিক করুন। https://www.blogger.com
এই
ব্লগারের মাধ্যমে
আপনি ফ্রিতে ওয়েব সাইট তৈরী করতে পারবেন, শুধু
ডুমেইনটি আপনি কিনবেন, হুস্টিং
এড করতে হবে না, কারণ ব্লগার দিয়ে তৈরী করা ওয়েব সাইটে হুস্টিং ফ্রি। হুস্টিং এড করতে হবে
না। এছাড়া ও আরো অসংখ্য অগনিত ফ্রিলান্সিং ক্যাটাগরির কাজ আছে, যে কোন একটি বিষয় এর উপর আপনার স্কিল ডেবলাপ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে
পারেন। আশা করি কিছুটা হলেও আপনাদেরকে ধানরা দেওয়া চেষ্ট করেছি ।
ফ্রিলান্সিং কিভাবে শুরু করব
ফ্রিলান্সিং
কিভাবে শুরু করব- আপনার যদি কম্পিউটারের বেসিক ধরণা টুকু না থাকে তাহলে
ফ্রিলান্সিং শুরু করাটা আপনার জন্য বৃথা হয়ে যাবে। কারণ হঠাৎ করে ফ্রিলান্সিং
সেক্টরে এসে সফল হওয়ার ফলে ব্যর্থ হয়ে যাবেন। তাই যদি আপনার বেসিক কম্পিউটারের ধারণা
থাকে, তাহলে আমার পক্ষ থেকে পরামর্শ হবে আপনি ভালো কোন আইটি প্রতিষ্টান থেকে
আপনার পছন্দের যে কোন একটি ফ্রিলান্সিং এর কাজ শিখে দেন কাজটি শুরু করুন। সফলতা
আসবেই।
ইউটিউব
এর মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং শিখুন- অনেক সফল ফ্রিলান্সার আছে যারা ইউটিউব থেকে বিভিন্ন
ইউটিউবারের প্লেলিস্ট থেকে ভালো ফ্রিলান্সার হচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক
সময় দিতে হবে। ইউটিউবে সময় ব্যয় করে হলেও ভালো মানের ফ্রিলান্সার হতে পারবেন।
বিভিন্ন ব্লগ/আর্টিকেল পড়ে ফ্রিলান্সিং শিখতে পারবেন। আরেকটি কথা না বললেই নয়, আপনি যদি
ধৈর্য ধারণ করে বিভিন্ন ব্লগপোস্টের আর্টিকেল পড়েন তাহলে অনেক অজানা তথ্য জানতে
পারবেন এবং দক্ষ ফ্রিলান্সার হতে পারবেন। তই বেশী বেশী করে ব্লগপোস্ট পড়বেন।
বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম ?
বাংলাদেশে
ফ্রিরান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম? এ বিষয় জানতে চাইলে আপনি
গুগোলে গিয়ে সার্চ করলেই দেখতে পাবেন। আমেরিকা, ইন্ডিয়া,
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ বিশ্বের সকল দেশের
সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ফ্রিলান্সিং সেক্টরে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে।
ফ্রিলান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের স্থান বর্তমান বিশ্বে ৭ম, তবে
এই স্থানটি স্থির থাকে না, উটা-নামা করে ।
ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার
ফ্রিলান্সিং
ক্যারিয়ার- এর কথা বলতে গেলে আপনাকে প্রথমত কটের পরিশ্রমী হতে হবে। ফ্রিলান্সিং
সেক্টরে একবার সফল হয়ে গেলে ক্যারিয়ার নিয়ে আর ভাবতে হবে না। আপনি উদ্যমী/পরিশ্রমী, আপনিই সফল,
ক্যারিয়ার আপনার। সফল ফ্রিলান্সাররা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে না,
আপনি
যদি সফল ফ্রিলান্সার হতে পারেন, তবে ক্যারিয়ার আপনার, লাইফ টাইম আর্ণিং করতে পারবেন।
আমার
এই ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছুটা ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি কোন ভুল
করে থাকি, তবে ক্ষামা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ-
উপদেশ
মুলক বাক্য:
আপনি
যে কোন কাজ শিখেন, লক্ষ নির্ধারণ করে যে কোন একটি বিষয়ে ভালো ভাবে নিজেকে গঠন করলে সফলতা
এমনিতেই আসবে। ইতিহাস স্বাক্ষী- আজ পর্যন্ত যে ব্যক্তিরা সফল হয়েছেন, কঠোর পরিশ্রম আর সঠিক সময়ে সঠিক কাজে করে নেয়ার ফলেই সফল।
শেষ
কথা: ফ্রিলান্সিং
সেক্টরে সফল হতে হলে আপনাকে অধিক ধৈর্য্যেশীল হতে হবে এবং প্রচুর পরিশ্রমী হতে
হবে। প্রথমত কয়েক মাস কটোর পরিশ্রমী কাজ করলে পরবর্তীতে সজহ হয়ে যাবে।
nice
ReplyDelete